স্বাধীনতার কিছু স্মৃতি ১৬ : our karamdi village মুক্তিযুদ্ধের মিশন (mission) পর্যালোচনা এবং কর্মপরিকল্পনা নির্ধারন
স্বাধীনতার কিছু স্মৃতি ১৬
মুক্তিযুদ্ধের মিশন (mission) পর্যালোচনা এবং কর্মপরিকল্পনা নির্ধারন
একটা সংগঠিত বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে যেতে হলে তেমনভাবেই শক্তিশালী সংগঠিত বাহিনীর প্রয়োজন। বাংলাদেশের পক্ষেও এমন একটি শক্তিশালী বাহিনী ছিল। এরা হচ্ছে মাতৃভূমিকে বিদেশী শাসনের হাত থেকে স্বাধীন করার জন্য ইপিআর (East Pakistan Rifles) অথবা পাক মিলিটারি থেকে স্বেচ্ছায় বের হয়ে আসা ব্যাক্তিবর্গ। এরাই কর্নেল ওসমানীর অধীনে সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সেক্টরে তাদের কলা কৌশল, বিদ্যা বুদ্ধি কাজে লাগিয়েছে। এছাড়া তারা সাথে নিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং অস্ত্র যেগুলো তারা ব্যবহার করতে পারদর্শী। বাংলার মাটিতে বাংলার অস্ত্র দিয়ে বাংলার মানুষকে হত্যা করতে দিব না, এটাই ছিল তাদের ব্রত। তাদের ছিল যুদ্ধাস্ত্র, ট্রেনিং, সংবাদ বাহন এবং সর্বোপরি চেইন অব কমান্ড। যেহেতু তাদের জন্য ছিল নির্দিষ্ট সরক্ষিত ক্যাম্প, তাই তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা ছিল নিশিত। আবার ক্যাম্পকে রক্ষা করার জন্য ছিল সিক্যুরিটি গার্ড। অতএব যেকোন সময় শত্রু থেকে রক্ষা পাওয়ার একটা ব্যাবস্থা ছিল। কিন্তু অন্যান্য মুক্তিবাহিনির যেমন ছিল স্বাধীনতা, তেমন ছিল যে কোন সময় বিপদের ঝুঁকি। নিজকেই সমস্ত বিপদের সম্মুখিন হতে হবে।
সংগঠিত বাহিনীর ন্যায় আমাদের মুক্তিযোদ্ধা বা মুজিব বাহিনীর কি সেধরনের ট্রেনিং ছিল? অথবা আমাদেরকে কি সে ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল? প্রথম থেকেই আদৌ সেধরনের উদ্দেশ্য ছিল কি? যদি আমাদেরকে সমরক্ষেত্রে পাাঠানোর উদ্দেশ্য থেকে থাকত, তাহলে প্রথম থেকেই ট্রেনিং কারিকুলাম তৈরি করা হত। তিন চার সপ্তাহের ট্রেনিংএ বাস্তবে কতখানি বিসয়বস্তু রপ্ত করা সম্ভব? তাহলে সংগঠিত বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের কি ভুমিকা?
আমাদের নাই অস্ত্রশক্তি, নাই ট্রেনিং, নাই সংগঠন, নাই সংবাদ বাহন, নাই সুস্পষ্ট চেইন অব কমান্ড। আমি যদি কাউকে কোন হুকুম করি, তাহলে সে কেনই বা আমার কমান্ড ফলো করবে? আমার আদেশ নির্দেশ মানলেও না মানলেও তার কিছু যায় আসেনা। আমাদের অস্ত্র বলতে একটা রাইফেল, দুইটা হ্যান্ড গ্রেনেড। কোন কোন দলে ছিল একটা এস এল আর। শুনেছি কোন কোন দলে এল এম জিও ছিল, খুবই নগণ্য। এদিয়ে ঠুস করে পাখি মারা যেতে পারে, সংগঠিত বাহিনিকে নয়। মানুষ মারা সম্ভব, কিন্তু সংগঠিত বাহিনীকে নয়। আঘাত করা যেতে পারে, ধ্বংস করা নয়। তাহলে আমাদের উপর কি দায়িত্ব আছে, আর আমরা কিইবা করতে পারি? অপারেশন থিয়েটারে ডাক্তার কঠিন রোগীর অপারেশন করেন, ক্রেডিট টা কি শুধুমাত্র ডাক্তার সাহেবের, না অন্য কোন স্টাফেরও আছে? একজন নার্স বা একজন প্যাথলোজীষ্ট বা এমনকি একজন পরিচ্ছন্ন কর্মীরই বা কি ভূমীকা থাকতে পারে? এসমস্ত ব্যক্তিগুলোকে বাদ দিয়ে কি অপারেশন হতে পারে? এধরনের প্রশ্নগুলোয় আমার মনের মধ্যে সর্বদা খেলা করছিল। আমরা দেশে ফিরে এসে দেখলাম সংগঠিত বাহিনীর সাথে অন্যান্য বাহিনীর তেমন কোন সাংগঠনিক সম্পর্ক নাই। যোগাযোগ নাই। কেউ কাউকে চিনেওনা। তাহলে কিভাবে যুদ্ধ হল? ৯ মাসের যুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল, যেখানে ভিয়েতনামের লেগেছে ১২ টা বছর। কিভাবে সম্ভব হল?
আমাদের একমাত্র পূঁজি হল সাধারন জনগনের সহযোগিতা এবং আমাদের মনবল। এছাড়া আমরা বেতনভুক্ত কর্মচারী নই। যেহেতু বেতনের বিনিময়ে কাজ করিনা, তাই যেকোন পরিস্থিতির সম্মুখিন হওয়ার সর্বোচ্চ মানসিক প্রস্তুতি ছিল আমাদের।
এমন চিন্তাভাবনা নিয়েই আবারো মিনাপাড়া থেকে করমদি ফিরে এলাম আমরা ৪ জন (আশরাফুল, মকবুল, মুছাব এবং আমি)। করমদিতে বাকী ৩ জনের সাক্ষাৎ হল। আমরা করমদি থেকে মিনাপাড়া যাওয়ার যে পথ ধরেছিলাম, সেই একই পথ অনুসরন। এবারে জোড়পুকুর মাঠের মধ্যে বিশেষ একটা বস্তুর লোভ সামলাতে পারলামনা। ধানক্ষেত, হাঁটু পানিতে ভরা। জমির আইলে একটু উঁচু করে বাঁধা। প্রকৃত পক্ষে এটা মাছ ধরার এক অভিনব কৌশল। সেখানে প্রচুর কই মাছ লাফালাফি করছে। আমরা যেমন স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সাঁতার কাটতে সুইমিং পুলে নামি, কইমাছগুলোও হয়তো তেমন কিছু ভিন্ন অনুভুতি অনুভব করার জন্য পানি থেকে লাফ দিয়ে ড্যাংগায় আশ্রয় নিয়েছিল। আমরা সুইমিং পুল থেকে ফিরে আসতে পারি, কইমাছগুলো ফিরে যায় আমাদের লাল রংয়ের উত্তপ্ত চুলায়।
আমরা কইমাছগুলোর লোভ সামলাতে না পেরে কিছু কইমাছ মালিকের বুনা অনুমতিতে গামছা ভর্তি করে নিয়ে নিলাম, অর্থাৎ চুরি করলাম। হয়তো দুই তিন কেজি হবে। মাছগুলো নিয়ে এলাম আমাদের বাড়িতে। আমার বাবা এ ঘটনা শুনে রাগ করলেও শেষ পর্যন্ত রান্না হল এবং আমরা তৃপ্তি সহকারে গরম ভাত আর গরম কইমাছ রান্না পেট ভর্তি করে খেলাম।
কিন্তু সমস্যা হল এরপর আমরা কোথায় যাব, কোথায় থাকব। করমদি আমাদের জন্য তখন বিপদমুক্ত নয়। তাই ব্রজনাথপুরে করমদির জাহিদদের একটা ছোট ঘর ছিল, আপাতত আমরা সেখানেই আশ্রয় নিলাম। পাক বাহিনীর হামলা থেকে নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য সেখানে শরণার্থীদের একটা ক্যাম্প তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এই ক্যাম্প সম্পর্কে পরে কোন এক সময় লিখব।
আমরা সবাই একমত যে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের চেহারা দেখতে চাই, নিজ হাতে দেশ গড়তে চাই, রাষ্ট্রযন্তের চাকা ঘুরাতে চাই, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই এবং অপরকে বাঁচতে সাহায্য করতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের এই মিশন বুকের খাঁচার মধ্যে লালিত করেই তো যুদ্ধে অংশগ্রহণ। তাহলে সেই মিশনকে বাস্তবায়ন করতে হলে কি করা প্রয়োজন? সুষ্ঠু এবং যুক্তিসঙ্গত কর্মপরিকল্পনা।
এখানে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা এবং মুজিব বাহিনীর কর্মপরিধি নিয়ে একটু না বললেই নয়। আমি আগেই বলেছি মুজিব বাহিনী সশস্ত্র যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার জন্য তৈরি হয় নাই।। জনগন যেন সরকার পক্ষ অবলম্বন না করে সেই ডিজাস্টার থেকে রক্ষা করার জন্যই এই বাহিনী। আমাদের প্রতি স্পষ্টভাবে নির্দেশ ছিল আমরা যেন সম্মুখ যুদ্ধে না যাই। বরং সেধরনের পরিস্থিতি থেকে নিজকে দূরে রাখতে হবে। যদি কখনও যুদ্ধ করতেই হয়, তবে সেটা যেন গ্রামের মধ্যে, জনসমাগম বা হাট বাজারের কাছাকাছি না হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে।
আজ এখানেই শেষ
২৯শে মে, ২০২০
coppy from Fb Id
মুক্তিযুদ্ধের মিশন (mission) পর্যালোচনা এবং কর্মপরিকল্পনা নির্ধারন
একটা সংগঠিত বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে যেতে হলে তেমনভাবেই শক্তিশালী সংগঠিত বাহিনীর প্রয়োজন। বাংলাদেশের পক্ষেও এমন একটি শক্তিশালী বাহিনী ছিল। এরা হচ্ছে মাতৃভূমিকে বিদেশী শাসনের হাত থেকে স্বাধীন করার জন্য ইপিআর (East Pakistan Rifles) অথবা পাক মিলিটারি থেকে স্বেচ্ছায় বের হয়ে আসা ব্যাক্তিবর্গ। এরাই কর্নেল ওসমানীর অধীনে সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সেক্টরে তাদের কলা কৌশল, বিদ্যা বুদ্ধি কাজে লাগিয়েছে। এছাড়া তারা সাথে নিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং অস্ত্র যেগুলো তারা ব্যবহার করতে পারদর্শী। বাংলার মাটিতে বাংলার অস্ত্র দিয়ে বাংলার মানুষকে হত্যা করতে দিব না, এটাই ছিল তাদের ব্রত। তাদের ছিল যুদ্ধাস্ত্র, ট্রেনিং, সংবাদ বাহন এবং সর্বোপরি চেইন অব কমান্ড। যেহেতু তাদের জন্য ছিল নির্দিষ্ট সরক্ষিত ক্যাম্প, তাই তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা ছিল নিশিত। আবার ক্যাম্পকে রক্ষা করার জন্য ছিল সিক্যুরিটি গার্ড। অতএব যেকোন সময় শত্রু থেকে রক্ষা পাওয়ার একটা ব্যাবস্থা ছিল। কিন্তু অন্যান্য মুক্তিবাহিনির যেমন ছিল স্বাধীনতা, তেমন ছিল যে কোন সময় বিপদের ঝুঁকি। নিজকেই সমস্ত বিপদের সম্মুখিন হতে হবে।
সংগঠিত বাহিনীর ন্যায় আমাদের মুক্তিযোদ্ধা বা মুজিব বাহিনীর কি সেধরনের ট্রেনিং ছিল? অথবা আমাদেরকে কি সে ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল? প্রথম থেকেই আদৌ সেধরনের উদ্দেশ্য ছিল কি? যদি আমাদেরকে সমরক্ষেত্রে পাাঠানোর উদ্দেশ্য থেকে থাকত, তাহলে প্রথম থেকেই ট্রেনিং কারিকুলাম তৈরি করা হত। তিন চার সপ্তাহের ট্রেনিংএ বাস্তবে কতখানি বিসয়বস্তু রপ্ত করা সম্ভব? তাহলে সংগঠিত বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের কি ভুমিকা?
আমাদের নাই অস্ত্রশক্তি, নাই ট্রেনিং, নাই সংগঠন, নাই সংবাদ বাহন, নাই সুস্পষ্ট চেইন অব কমান্ড। আমি যদি কাউকে কোন হুকুম করি, তাহলে সে কেনই বা আমার কমান্ড ফলো করবে? আমার আদেশ নির্দেশ মানলেও না মানলেও তার কিছু যায় আসেনা। আমাদের অস্ত্র বলতে একটা রাইফেল, দুইটা হ্যান্ড গ্রেনেড। কোন কোন দলে ছিল একটা এস এল আর। শুনেছি কোন কোন দলে এল এম জিও ছিল, খুবই নগণ্য। এদিয়ে ঠুস করে পাখি মারা যেতে পারে, সংগঠিত বাহিনিকে নয়। মানুষ মারা সম্ভব, কিন্তু সংগঠিত বাহিনীকে নয়। আঘাত করা যেতে পারে, ধ্বংস করা নয়। তাহলে আমাদের উপর কি দায়িত্ব আছে, আর আমরা কিইবা করতে পারি? অপারেশন থিয়েটারে ডাক্তার কঠিন রোগীর অপারেশন করেন, ক্রেডিট টা কি শুধুমাত্র ডাক্তার সাহেবের, না অন্য কোন স্টাফেরও আছে? একজন নার্স বা একজন প্যাথলোজীষ্ট বা এমনকি একজন পরিচ্ছন্ন কর্মীরই বা কি ভূমীকা থাকতে পারে? এসমস্ত ব্যক্তিগুলোকে বাদ দিয়ে কি অপারেশন হতে পারে? এধরনের প্রশ্নগুলোয় আমার মনের মধ্যে সর্বদা খেলা করছিল। আমরা দেশে ফিরে এসে দেখলাম সংগঠিত বাহিনীর সাথে অন্যান্য বাহিনীর তেমন কোন সাংগঠনিক সম্পর্ক নাই। যোগাযোগ নাই। কেউ কাউকে চিনেওনা। তাহলে কিভাবে যুদ্ধ হল? ৯ মাসের যুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল, যেখানে ভিয়েতনামের লেগেছে ১২ টা বছর। কিভাবে সম্ভব হল?
আমাদের একমাত্র পূঁজি হল সাধারন জনগনের সহযোগিতা এবং আমাদের মনবল। এছাড়া আমরা বেতনভুক্ত কর্মচারী নই। যেহেতু বেতনের বিনিময়ে কাজ করিনা, তাই যেকোন পরিস্থিতির সম্মুখিন হওয়ার সর্বোচ্চ মানসিক প্রস্তুতি ছিল আমাদের।
এমন চিন্তাভাবনা নিয়েই আবারো মিনাপাড়া থেকে করমদি ফিরে এলাম আমরা ৪ জন (আশরাফুল, মকবুল, মুছাব এবং আমি)। করমদিতে বাকী ৩ জনের সাক্ষাৎ হল। আমরা করমদি থেকে মিনাপাড়া যাওয়ার যে পথ ধরেছিলাম, সেই একই পথ অনুসরন। এবারে জোড়পুকুর মাঠের মধ্যে বিশেষ একটা বস্তুর লোভ সামলাতে পারলামনা। ধানক্ষেত, হাঁটু পানিতে ভরা। জমির আইলে একটু উঁচু করে বাঁধা। প্রকৃত পক্ষে এটা মাছ ধরার এক অভিনব কৌশল। সেখানে প্রচুর কই মাছ লাফালাফি করছে। আমরা যেমন স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সাঁতার কাটতে সুইমিং পুলে নামি, কইমাছগুলোও হয়তো তেমন কিছু ভিন্ন অনুভুতি অনুভব করার জন্য পানি থেকে লাফ দিয়ে ড্যাংগায় আশ্রয় নিয়েছিল। আমরা সুইমিং পুল থেকে ফিরে আসতে পারি, কইমাছগুলো ফিরে যায় আমাদের লাল রংয়ের উত্তপ্ত চুলায়।
আমরা কইমাছগুলোর লোভ সামলাতে না পেরে কিছু কইমাছ মালিকের বুনা অনুমতিতে গামছা ভর্তি করে নিয়ে নিলাম, অর্থাৎ চুরি করলাম। হয়তো দুই তিন কেজি হবে। মাছগুলো নিয়ে এলাম আমাদের বাড়িতে। আমার বাবা এ ঘটনা শুনে রাগ করলেও শেষ পর্যন্ত রান্না হল এবং আমরা তৃপ্তি সহকারে গরম ভাত আর গরম কইমাছ রান্না পেট ভর্তি করে খেলাম।
কিন্তু সমস্যা হল এরপর আমরা কোথায় যাব, কোথায় থাকব। করমদি আমাদের জন্য তখন বিপদমুক্ত নয়। তাই ব্রজনাথপুরে করমদির জাহিদদের একটা ছোট ঘর ছিল, আপাতত আমরা সেখানেই আশ্রয় নিলাম। পাক বাহিনীর হামলা থেকে নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য সেখানে শরণার্থীদের একটা ক্যাম্প তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এই ক্যাম্প সম্পর্কে পরে কোন এক সময় লিখব।
আমরা সবাই একমত যে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের চেহারা দেখতে চাই, নিজ হাতে দেশ গড়তে চাই, রাষ্ট্রযন্তের চাকা ঘুরাতে চাই, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই এবং অপরকে বাঁচতে সাহায্য করতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের এই মিশন বুকের খাঁচার মধ্যে লালিত করেই তো যুদ্ধে অংশগ্রহণ। তাহলে সেই মিশনকে বাস্তবায়ন করতে হলে কি করা প্রয়োজন? সুষ্ঠু এবং যুক্তিসঙ্গত কর্মপরিকল্পনা।
এখানে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা এবং মুজিব বাহিনীর কর্মপরিধি নিয়ে একটু না বললেই নয়। আমি আগেই বলেছি মুজিব বাহিনী সশস্ত্র যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার জন্য তৈরি হয় নাই।। জনগন যেন সরকার পক্ষ অবলম্বন না করে সেই ডিজাস্টার থেকে রক্ষা করার জন্যই এই বাহিনী। আমাদের প্রতি স্পষ্টভাবে নির্দেশ ছিল আমরা যেন সম্মুখ যুদ্ধে না যাই। বরং সেধরনের পরিস্থিতি থেকে নিজকে দূরে রাখতে হবে। যদি কখনও যুদ্ধ করতেই হয়, তবে সেটা যেন গ্রামের মধ্যে, জনসমাগম বা হাট বাজারের কাছাকাছি না হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে।
স্বাধীনতার কিছু স্মৃতি ১৬ মুক্তিযুদ্ধের মিশন (mission) পর্যালোচনা এবং কর্মপরিকল্পনা নির্ধারন our karamdi village |
আজ এখানেই শেষ
২৯শে মে, ২০২০
coppy from Fb Id
No comments