Story of Mokhlesur Rahman : part -1
১৯৭১সালের মকলেচুর রহমান সৃতি এবং অভিজ্ঞতা
স্বাধীনতার কিছু সৃতি ১
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পিছনে দুটো বাহিনীর ভুমিকা ছিল সেকথাটি হয়তো অনেকেই ভুলে গেছে। একটি হল জেনেরাল ওসমানীর অধিনে সেনাবাহিনি, অপরটি হল মুক্তিবাহিনী। আর এই মুক্তিবাহিনির মধ্যে ছিল দুটি ভাগ, একটি সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছে, অপরটি জনগণকে উদবুদ্ধকরনের দায়িত্তে। আর এ দায়িত্বটা ছিল মুজিব্বাহিনির। এদের সংখ্যা ছিল কম। সরাসরি ছাত্রনেতাদের দ্বারা পরিচালিত। গাংনি থানায় আমরা ৭জন মুজিব বাহিনী ছিলাম। টিম লিডার মফাজ্জেল মাস্টার (করমদি গ্রামে বাড়ি, কিন্তু জীবন কেটেছে মেহেরপুরে), আব্দুল কাদের (প্রয়াত, করমদি ), আশরাফ মাস্টার ( গাংনি হাইস্কুলের অবসপ্রাপ্ত PE teacher) , মকবুল হোসেন ( Ex MP) , আশরাফুল ইসলাম ( অবসরপ্রাপ্ত joint secretary) , মুছাব (সহড়াবাড়ী এবং প্রাথমিক বিদ্দাল্যের শিক্ষক) এবং আমি মোখলেছ (করমদি এবং বর্তমানে জাপান প্রবাসী)।
আমরা করিমপুর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে ভর্তি হই সম্ভবত জুন মাসে। সেখানে আমাদের পরিক্ষা নেওয়া হয় বিশেষ করে ইংরাজির উপর। আমদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে কোলকাতা বাংলাদেশ দুতাবাসে। আমাদের কিছু টাকা দেওয়া হয় রাত্রির খাবারের জন্য । আমরা চলে যাই ট্রেনে করে পশ্চিম দিনাজপুর, নদীর কিনারে ক্যাম্পে। দুই সপ্তাহ সেখানে অবস্থান। দেখা হয় কিছু ছাত্রনেতাদের সাথে। উল্লেখযোগ্য নুরে আলম জিকু, ইনু, শিরাজুল সাহেব। অনেকের নাম ভুলে গেছি।
সেখান থেকে আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হই নিকতস্থ বিমানবন্দরে, প্রচুর বৃষ্টির মধ্যে যেয়ে উঠলাম প্লেনে। জীবনের প্রথম বিমানে উঠা। কিন্তু প্লেনটা ছিল মালবাহী। ভিতরে প্রচুর শব্দ এবং গরম। যেয়ে পৌঁছা
লাম উত্তর প্রদেশ, এয়ারপোর্টে রাত্রি যাপন করার পর ট্রাকে করে দেরাদুন, পাহাড়ের মধ্যে অনেক রাস্তা। প্রায় সবাই বমি করেছে। মনে হয় ১০০০ মিটার উপরে। সর্বদা মেঘ হয়ে থাকত। বৃষ্টি হতো যেকোন সময়। ব্র্যাকের জানালা দরজা সব সময় বন্ধ রাখতে হতে, তানাহলে ঘরের মধ্যে মেঘ ঢুকে যেয়ে বিছানাপ্ত্র ভিজে যাওয়ার সম্ভাবনা। ট্রেনিং সেন্টারের কাছাকাছি অবস্থান। আগ্নেয়াস্ত্রের ট্রেনিং এর চেয়ে রাজনীতির উপর ক্লাস ছিল বেশি এবং ইংরাজিতে। ইনডিয়ান আর্মির অনেক বড় বড় অফিসারদের লেকচার। ট্রেনিং শেষে আবারো প্লেনে দেরাদুন থেকে কোলকাতার দমদম বিমানবন্দরে । আমদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাকপুর ক্যাম্পে। সেখানে দেখা হয় তৎকালিন ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ, সিরাজুল আলম মনি এবং অন্যদের সাথে।
আজ এপর্যন্ত শেষ করি।
coppy Form Mokhlesur Rahmans fb id
স্বাধীনতার কিছু সৃতি ১
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পিছনে দুটো বাহিনীর ভুমিকা ছিল সেকথাটি হয়তো অনেকেই ভুলে গেছে। একটি হল জেনেরাল ওসমানীর অধিনে সেনাবাহিনি, অপরটি হল মুক্তিবাহিনী। আর এই মুক্তিবাহিনির মধ্যে ছিল দুটি ভাগ, একটি সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছে, অপরটি জনগণকে উদবুদ্ধকরনের দায়িত্তে। আর এ দায়িত্বটা ছিল মুজিব্বাহিনির। এদের সংখ্যা ছিল কম। সরাসরি ছাত্রনেতাদের দ্বারা পরিচালিত। গাংনি থানায় আমরা ৭জন মুজিব বাহিনী ছিলাম। টিম লিডার মফাজ্জেল মাস্টার (করমদি গ্রামে বাড়ি, কিন্তু জীবন কেটেছে মেহেরপুরে), আব্দুল কাদের (প্রয়াত, করমদি ), আশরাফ মাস্টার ( গাংনি হাইস্কুলের অবসপ্রাপ্ত PE teacher) , মকবুল হোসেন ( Ex MP) , আশরাফুল ইসলাম ( অবসরপ্রাপ্ত joint secretary) , মুছাব (সহড়াবাড়ী এবং প্রাথমিক বিদ্দাল্যের শিক্ষক) এবং আমি মোখলেছ (করমদি এবং বর্তমানে জাপান প্রবাসী)।
আমরা করিমপুর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে ভর্তি হই সম্ভবত জুন মাসে। সেখানে আমাদের পরিক্ষা নেওয়া হয় বিশেষ করে ইংরাজির উপর। আমদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে কোলকাতা বাংলাদেশ দুতাবাসে। আমাদের কিছু টাকা দেওয়া হয় রাত্রির খাবারের জন্য । আমরা চলে যাই ট্রেনে করে পশ্চিম দিনাজপুর, নদীর কিনারে ক্যাম্পে। দুই সপ্তাহ সেখানে অবস্থান। দেখা হয় কিছু ছাত্রনেতাদের সাথে। উল্লেখযোগ্য নুরে আলম জিকু, ইনু, শিরাজুল সাহেব। অনেকের নাম ভুলে গেছি।
সেখান থেকে আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হই নিকতস্থ বিমানবন্দরে, প্রচুর বৃষ্টির মধ্যে যেয়ে উঠলাম প্লেনে। জীবনের প্রথম বিমানে উঠা। কিন্তু প্লেনটা ছিল মালবাহী। ভিতরে প্রচুর শব্দ এবং গরম। যেয়ে পৌঁছা
লাম উত্তর প্রদেশ, এয়ারপোর্টে রাত্রি যাপন করার পর ট্রাকে করে দেরাদুন, পাহাড়ের মধ্যে অনেক রাস্তা। প্রায় সবাই বমি করেছে। মনে হয় ১০০০ মিটার উপরে। সর্বদা মেঘ হয়ে থাকত। বৃষ্টি হতো যেকোন সময়। ব্র্যাকের জানালা দরজা সব সময় বন্ধ রাখতে হতে, তানাহলে ঘরের মধ্যে মেঘ ঢুকে যেয়ে বিছানাপ্ত্র ভিজে যাওয়ার সম্ভাবনা। ট্রেনিং সেন্টারের কাছাকাছি অবস্থান। আগ্নেয়াস্ত্রের ট্রেনিং এর চেয়ে রাজনীতির উপর ক্লাস ছিল বেশি এবং ইংরাজিতে। ইনডিয়ান আর্মির অনেক বড় বড় অফিসারদের লেকচার। ট্রেনিং শেষে আবারো প্লেনে দেরাদুন থেকে কোলকাতার দমদম বিমানবন্দরে । আমদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাকপুর ক্যাম্পে। সেখানে দেখা হয় তৎকালিন ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ, সিরাজুল আলম মনি এবং অন্যদের সাথে।
আজ এপর্যন্ত শেষ করি।
coppy Form Mokhlesur Rahmans fb id
No comments